বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
জয় মহন্ত অলক ঠাকুরগাঁও॥ উত্তরের কৃষি স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। দেশের মোট ধান ও গম সহ অন্যান্য ফসলের বড় একটা অংশ উৎপাদন হয় এ জেলায়। চাতালের অপ্রতুলতা থাকায় বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে জেলার অভ্যন্তরিন সড়ক গুলিতেই চলে ধান মাড়াই আর শুকানোর চাতালের কাজ। ফলে এখানকার সড়কগুলো যেন পরিনত হয়েছে এক একটি মৃত্যু ফাঁদে।
এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এ জেলার সচেতন মহল। চাতালের কাজে ব্যাবহৃত এসব সড়কের মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁও-গড়েয়া সড়ক, ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ সড়ক, ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়ক, বালিয়াডাঙ্গী-রানিশংকৈল সড়ক। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী ও বালিয়াডাঙ্গী-রানিশংকৈল সড়ক অন্যতম।
ঠাকুরগাঁও রোড এলাকা পার হলেই চোখে পড়বে বিভিন্ন উপজেলাতে যাবার সড়ক গুলির উপরেই চলছেযেখানে সেখানে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এর পরে আবার চলে সেগুলো শুকানোর কাজ। চাতালে অপ্রতুলতা থাকায় চাতাল ভাড়া বেশি হওয়ার কারনে কৃষকরা চাতাল ভাড়া বাচার জন্য মহাসড়কেই এসব ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করছেন। এতে করে সংকীর্ন হয়ে পড়ছে সড়কগুলি। সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহন চলাচলে। এর মধ্যে এসব সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে গিয়েছে ছোট-মাঝারী ধরনের দুর্ঘটনা।
জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে দেদারছে চলছে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ। এ জাতীয় কাজ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ জেলার সাধারণ মানুষ। তারা অবিলম্বে এ জাতীয় কাজ বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আক্তারুজ্জামান জানান, বিগত সময়ে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ক ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছি। বিভিন্ন সময়ে অনেককে সাবধানও করেছি। কিন্তু তারা আবারো একি কাজ করছে। এবারে আমরা জরিমানার ব্যাবস্থা রেখে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো বলে মনে করছি।